সাভারে দুই দিনে ৪ জনের আত্মহত্যা
প্রকাশিত : ১৮:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০১৯
রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কোরবানীর ঈদের ছুটিতে ভিন্ন স্থান থেকে পৃথক ঘটনায় গত দুই দিনে মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত এসব মৃত দেহগুলোর সকলেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১৪ আগস্ট ভোরে আশুলিয়ার ভাদাইলের সাধুমার্কেট এলাকায় শ্রীমতি রারী (২৭) নামের পোশাক শ্রমিক ঈদের ছুটিতে বাড়ী যেতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের দিনমজুর স্বামী জানায়, ঈদের ছুটিতে স্ত্রী শ্রীমতির গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও টাকার অভাবে এবার যেতে পারিনি। এ নিয়ে শ্রীমতি অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে দেনার টাকা শোধ না করতে পেরে একই দিন সকালে আত্মহত্যা করেছে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৩) নামের এক পোশাক শ্রমিক। সে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে ভাড়া বাসায় থেকে হামীমি গ্রুপের একটি কারখানায় কাজ করতো। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বাসিন্দা। বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অপরদিকে ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে আশুলিয়ার কোন্ডলবাগে সাইফুল ইসলাম (২৮) ও গাজীরচট এলাকার শিরিনা বেগম (২০) নামে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত সাইফুল ইসলাম পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে ও নিহত শিরিন বেগম দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি থানার খয়েরবাড়ি গ্রামের মৃত. মোহাম্মদের মেয়ে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন,ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ভাবিয়ে তুলছে প্রশাসনকে। পারিবারিক কলহের জের ধরে কিংবা অর্থনৈতিক দন্যতার কারণে তুচ্ছ ঘটনায় আত্মহত্যায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় পৃথক পৃথক অপমৃত্যু মালা রেকর্ড করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্ত করে ও ময়না তদন্তের ফলাফল পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
কেআই/
আরও পড়ুন